কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ জাগ্রত অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ সম্মাননা স্মারক লাভ করেছে কুষ্টিয়ার সাদিক হাসান রহিদ। স্বেচ্ছায় মুমূর্ষু রোগীদের নিয়মিত রক্তদান সহ রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য সাদিক হাসান রহিদকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কনফারেন্স রুমে এক অনুষ্ঠানে সাদিক হাসান রহিদ এর হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন জাগ্রত গ্রুপের চেয়ারম্যান জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম।
রক্ত প্রয়োজন, এমন কথা শুনলে সে অস্থির হয়ে যায় রক্ত যোগাড় করে দিতে। মিষ্টভাষী ও ভদ্র রহিদ নিজ এলাকায় তাকে সবাই খুব পছন্দ করে। অন্যকে সাহায্য করতে কখনো দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন না এই সাদিক হাসান রহিদ। গেলো চার বছর ধরে কাজ করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে। প্রতিষ্ঠিত করেছে স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরই মাঝে প্রায় ৫ হাজার ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিতে সক্ষম হয়েছে এই তরুণ। আর এমন ভালো কাজের সাথে থেকে নাম বদলে এখন সবাই তাকে রক্ত রহিদ নামে ডাকে। রক্ত দেওয়ার কারনেই রহিদকে এই সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় আরও ১৫ জনকে সম্মাননা জানানো হয়।
নজরুল একাডেমি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুর রশীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এসএম জামাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, কালচারাল অফিসার সুজন রহমান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহীন সরকার, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসান টুটুল, সুইমিং ফেডারেশন এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো: শহীদুল্লাহ, জাগ্রত ব্যবসায়ী জনতা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম প্রচার সম্পাদক রাসেল মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের প্রচার সম্পাদক মেজবাহ উল আলম নাসিম প্রমুখ।
সম্মাননা স্মারক পেয়ে অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাদিক হাসান রহিদ জানান, রোগীর যখন রক্তের প্রয়োজন হয় তখন রোগীর স্বজনরা দিশাহারা হয়ে ওঠে। কোথায় রক্ত পাবে, কীভাবে পাবে, কার সঙ্গে যোগাযোগ করলে রক্ত পাওয়া যাবে? সেই চিন্তা যেন তখন আকাশ সমান হয়ে দাঁড়ায়। আর আমি ঠিক সময়মতো যদি তাদের রক্তের ব্যভস্থা করে দিতে পারি তাহলে আমার কাছে অন্যরকম অনুভূতি হয়। মানুষের রক্ত জোগাড় করার জন্য সবসময় আমি ব্যকুলতা থাকি। তিনি বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে অসুস্থ মানুষকে রক্ত সংগ্রহ করে দেয়ার এ কাজটি করে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার মানুষকে কোনো টাকা ছাড়াই রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছি। আমি নিজেই ১৮বার রক্ত দিয়েছি। তিনি বলেন, যখন রক্ত জোগাড় করে দিই তখন রক্ত গ্রহীতা ও তার আত্মীয়-স্বজনের হাসিমুখ দেখতে পাই। তখনকার অনুভূতি বোঝানোর মতো নয়। রক্ত জোগাড় করে দিলে মনে প্রশান্তি কাজ করে। কারও মুখে হাসি ফোঁটাতে পারার আনন্দ আসলেই অন্যরকম।